দেশ সরকার ১৯৭৮ সালে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে যা পরবর্তীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হিসেবে পুনঃনামকরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে যুব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ১৯৮১ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর গঠন করা হয়। জাতীয় যুবনীতি অনুসারে বাংলাদেশের ১৮-৩৫ বছর বয়সী জনগোষ্ঠিকে যুব হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। জনসংখ্যার প্রতিশ্রুতিশীল, উৎপাদনক্ষম ও কর্মপ্রত্যাশী এই যুবগোষ্ঠিকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় তাদেরকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি, সর্বোপরি ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাপক এই যুবশক্তিকে কাজে লাগানো ছাড়া আমাদের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। ১৯৮১ সাল থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত যুব ঊন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রকল্প ও রাজস্ব কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ট্রেডে ৪ হাজার ২০০ জন যুবক ও যুবমহিলাকে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যে দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এবং উক্ত প্রশিক্ষিত যুবদের মধ্যে একই সময়ে ২ হাজার ৪৯৪ জন যুবক ও যুবমহিলা আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হতে সক্ষম হয়েছে। তন্মধ্যে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৪ হাজার ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। অধিদপ্তরের ঋণ কর্মসূচির শুরু হতে জুন ২০১৬ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৯৪ জন উপকারভোগীকে ১ কোটি ১৮ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। তম্মধ্যে ২০১৫-২০১৮ অর্থ বছরে ৩ হাজার ২৫৫ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১৫ কোটি ৩ লক্ষ ৫০০০ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ঋণ আদায়ের গড় হার ৯৪%। আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্পে নিয়োজিত যুবদের মাসিক গড় আয় ৩০০০/- টাকা থেকে ৫০,০০০/- হাজার টাকা পর্যন্ত। অনেক সফল আত্মকর্মী মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করে থাকে। এছাড়া, অনেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক ও যুবমহিলা বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী লাভ করেছেন এবং মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে চাকুরি লাভে সক্ষম হয়েছেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস